রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন
কাস্টমসের ধ্বংসকৃত পশু খাদ্য পাচারকালে ১টি কাভার্ডভ্যান সহ আটক-১
মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকা থেকে আমদানি নিষিদ্ধ প্রাণীর বর্জ্য ও হাড়যুক্ত মিট অ্যান্ড বোন মিল (এমবিএম) নামের মাছ ও হাঁস-মুরগির খাবার মাটির নিচে গর্তে ফেলে ধ্বংস করেছিল কাস্টম হাউস। রাতের আঁধারে চুরির সময় এমবিএম বোঝাই ১ টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গত শুক্রবার ৩ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাভার্ডভ্যান ও ড্রাভার রিয়াজ কে আটক করে বন্দর থানা পুলিশ । চোরাকারবারি সাথে যুক্ত থাকার অনেকের নাম পাওয়া গেছে, যা তদন্তের সার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়,২০২২ সালে বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ এমবিএম আনন্দবাজার ল্যান্ডফিলে ডাম্প করেছিল কাস্টমস। কিন্তু কয়েকটি চোর চক্র রাতের আঁধারে সেখান থেকে সেগুলো গোপনে লেবার দিয়ে বস্তা ভরে গাড়িতে করে পাচার কর আসছে। এ সময় ১টি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে। গত কিছুদিন আগেও ১০ ট্রাক পণ্য সহ আটক ও মামলা হয়,তারপর আবারও ৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা হওয়ার পরেও, কিভাবে বার বার এই পণ্য চুরি হচ্ছে সে ব্যাপারে প্রশাসনের অধিকতর তদন্ত করে
ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সচেতন মহল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সুত্রে,আমদানি নিষিদ্ধ বিপুল পরিমাণ এমবিএম আনন্দবাজার ল্যান্ডফিলে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ডাম্প করা হয়েছিল। গোপন সংবাদে ভিত্তিতে বন্দর থানা খবর পায় একটি চক্র দিনেই কাভার্ডভ্যান ভরে পণ্যগুলো অন্যত্র পাচার করছে। গত শুক্রবার দুপুর ২:৩০ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১ টি কাভার্ডভ্যানে থাকা পণ্যগুলো জব্দ করা হয়। আগেও এ চক্র নিষিদ্ধ পণ্যগুলো পাচার করেছে। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আমরা খবর নিচ্ছি ধ্বংসকৃত পণ্য চোরা কারবারির সাথে কারা কারা জড়িত, যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মিট অ্যান্ড বোন মিল আমদানি নিষিদ্ধ করে।
এরপর থেকেই এ পণ্যগুলো কেউ আমদানি করলে তা জব্দ করে বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার এলাকায় ডাম্পিং করত কাস্টমস। আইন অনুযায়ী এমবিএম ধ্বংস করার জন্য ডাম্প করা হলেও একটি চক্র রাতের অন্ধকারে তা আবার বাইরে পাচার করছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার রিয়াজ কে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এবং আগেপরে যারা এই চোরা চালানীর সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।